রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি মহিউদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হাকিম।
ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এর আগে ৩ জানুয়ারি মহিউদ্দিনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন।
এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি তারিখ রেখেছিল আদালত।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে প্রকাশে পিটিয়ে রেনুকে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেনুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগনে নাসির উদ্দিন।
রেনুর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায়। তিনি মহাখালীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার দুই সন্তান। স্বজনদের দাবি, চার বছরের মেয়েকে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে বাড্ডার একটি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু। সেখানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন।
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আব্দুল হক।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, ওয়াসিম, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। তা ছাড়া মহিউদ্দিন পলাতক ছিলেন।
এর আগে ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পলাতক মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।